এফ এম সুমন পেকুয়া:

পেকুয়ায় ৫টি বসতঘর আগুনেপুড়ে ছাই হয়েছে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মধ্যম জালিয়া কাটা এলাকায়। শনিবার ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে এঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হঠাৎ করে স্থাণীয় মৃত আহম্মদ শরিফের পুত্র ইসমাইল, তার ভাই জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন মহিউদ্দিনের পুত্র নাছিম ও মৃত বাদশার স্ত্রী জাহেদা বেগমের বসতঘর মুহুর্তের মধ্যেই আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেই বিদ্যুতের আগুন ভেবে কেউ তেমন সামনে যায়নি। ফলে চোখের সামনেই ৫টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থাণীয়রা তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী জাহেদা বেগম বলেন, আমাদের কোন ধন সম্পদ নাই ছিল শুধু আমার এ ঘরটা তা আজ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। তিনি কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন। এই ছাড়াও ইসমাইলের স্ত্রী আমেনা জানান, আমাদের জীবনের শেষ সম্বল ছিল ঘরের ভিতরে থাকা প্রায় ২ লক্ষ টাকা আমার ছেলের জমানো শেষ সম্বল আজ তা ও পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। তারা জীবনের সব শেষ হয়ে গেলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পেকুয়া উপজেলা প্রসাশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে এবং খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করেন। এ দিকে খবর পেয়ে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন বাহাদুর আগুনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ঘটনাস্থলে যান এবং তার ব্যক্তিকগত পক্ষ থেকে ২শত৫০ কেজি চাল সহায়তা দেন। তিনি এসময় এ গরীব ও সবকিছু হারানো পরিবারের সাহায্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এদিকে ঘটনাস্থলে দেরীতে যাওয়ার বিষয়ে পেকুয়া দমকল বাহিনীর যোগাযোগ নাম্বার ০৩৪২৮৫৬১১১ তে একাধিক বার কল করেও কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।